How not to be wronged

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, আমেরিকান বিমানগুলি বিভিন্ন অংশে বুলেটের ঝাঁঝরা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরে আসত। একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় হল বুলেটের আঘাত বিমানের সব অংশে সমানভাবে ছিল না । অল্প কিছু বিমান ফিরে আসত ইঞ্জিনে বুলেটের গর্ত নিয়ে, কিছু আসত ফুয়েল সিস্টেমে আর কিছু আসত অন্যান্য অংশে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় । সবচেয়ে বেশী বুলেটের গর্ত থাকত বিমানের মেইন বডিতে (fuselage)।
আমেরিকান আর্মি এখানে ইফিসিয়েন্সির সুযোগ দেখতে পেয়েছিল । তারা চিন্তা করে দেখল যে, বিমানের যে অংশ গুলোতে বেশী গুলি লেগেছে, সেই অংশ গুলোকে যদি সঠিক ভাবে Armour করা যায়, আর যে অংশে কম গুলি লেগেছে বা একদমই লাগেনি সেই অংশ গুলোতে Armour কম দেওয়া যায় তাহলে, কম পরিমাণ Armour ব্যবহার করে, প্রটেকশন অনেক বাড়ানো যায়। মানে বিমান গুলো যুদ্ধ ক্ষেত্রে অনেক বেশী সময় টিকে থাকতে পারবে।
কম Armour ব্যবহার করার কারণ হল বেশী পরিমান Armour ব্যবহার, বিমানকে ভারী করবে, আর ভারী বিমান মানেই less maneuverable এবং বেশী ফুয়েল consume করবে।
কিন্তু একজ্যাক্টলি কি পরিমাণ Armour বিমানের কোন অংশে ব্যবহার করতে হবে তা আর্মির জানা ছিল না । তাই তারা সারভাইভড বিমানের বিভিন্ন অংশে, গুলি লাগার ডেটা নিয়ে Abraham Wald কাছে এসে উপস্থিত হয়েছিল।
ছবির তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১ মিনিট চিন্তা করে বলুন যে, বিমানের কোন অংশটিকে সেনাবাহিনীর শক্তিশালী করা উচিত?


বেশিরভাগ লোক উত্তর দেবে যে এটি fuselage হওয়া উচিত এবং কিন্তু তারা ভুল ।
সঠিক উত্তর হল ইঞ্জিন ।
Abraham Wald বুঝতে পেরেছিল আর্মির দেওয়া বিমানের বিভিন্ন অংশের গুলি লাগার তথ্যটি সমস্যাটির সঠিক প্রেজেন্ট্রেশন করে না।
কারণ হল ফিরে আসা বিমান গুলোর ইঞ্জিনে কম গুলি লাগার মানে হল, যে ইঞ্জিনে গুলি লাগা বিমান গুলো আর ফিরে আসে না।
এবং ফিরে আসা বিমান গুলোর মধ্যে fuselage এ বেশী গুলি লাগার মানে হল যে fuselage যথেষ্ট দৃঢ় এবং ক্ষতি সহ্য করতে পারে।
Abraham Wald বুজতে পেরেছিলেন যে আর্মির ডেটার ২ টি ব্যাখ্যা হতে পারে
১। ইঞ্জিনের চেয়ে বিমানের অন্যান্য অংশে বেশী গুলি হিট হয়
২। আসল দুর্বলতা ইঞ্জিনের Armour এ
দক্ষতার মধ্যে একটি হলো ডেটা দ্বারা তৈরি অন্তর্নিহিত ধারণাগুলি বোঝার ক্ষমতা।
আব্রাহাম ওয়াড এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সেনাবাহিনীর ডেটা সকল বিমানের পরিবর্তে শুধু মাত্র ফিরে আসা বিমানের রিপ্রেজেন্টেশন করে ।
পরবর্তীকালে কোরিয়া ও ভিয়েতনামের সাথে যুদ্ধের সময়ও আমেরিকান আর্মি ওয়াডের এই রিকমেন্ডেশন ফলো করেছিল।
ঠিক একই ভাবে আপনি যদি যুদ্ধের সময় হসপিটালে রিকভারি রুমে যান তাহলে দেখতে পাবেন হাতে পায়ে গুলি লাগা লোকের সংখ্যা, বুকে গুলি লাগা লোকের সংখ্যা থেকে বেশী । তারমানে এই না যে লোকজনের বুকে গুলি কম বিদ্ধ হয় । আসলে বুকে গুলি লাগা লোকজন বেঁচে থাকে না, তাই রিকভারি রুমে ওদের দেখা যায় না।

Comments

Popular posts from this blog

পিৎজা এবং বই

How to Install R on Ubuntu