পারফরমেন্স মূল্যায়ন

তিনটি উপায়ে একজন মানুষের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করা যেতে পারে
১। তারা তাদের খারাপটায় কতটা ভাল ?
২। তারা তাদের এভারেজটায় কতটা ভাল ?
৩। তারা তাদের ভালটায় কতটা ভাল ?
ইস্কুল কলেজ গুলো প্রথম দুটি ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার করে স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন করে থাকে ।
কিন্তু মার্কেট বেশিরভাগ সময়ে মূল্যায়ন করার জন্য থার্ড ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার করে থাকে ।
যেমন সি. জি. পি. এ. = ৩.৫ এর উপর রাখার জন্য প্রত্যেকটি কোর্সেই একটি নিদিষ্ট পরিমাণ গ্রেড পেতে হবে, তার নিচে পেলে ৩.৫ থাকবে না , আপনি এক কোর্স থেকে আরেকটি কোর্সেই যতটা ভালই হোন না কেন…

উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে আপনি কমিউনিকেশনের কোর্স গুলোতে খুবই খারাপ কিন্তু পাওয়ারের কোর্স গুলোতে খুবই ভাল, কিন্তু একটি নিদিষ্ট পরিমাণ গ্রেড কমিউনিকেশনের কোর্স গুলোতে না পেলে ৩.৫ থাকবে না ।
অন্য দিকে ৯ টি খারাপ মানের বই লিখলেন আর একটি বেষ্ট সেলিং বই লিখলেন তাহলে আপনি হবেন বেষ্ট সেলিং লেখক, কিন্তু ১০ টি এভেরেজ মানের বই লিখলে, বেষ্ট সেলিং লেখক কখনোই হয়ে উঠবেন না । কারণ মার্কেটের বিবেচ্য হল আপনি আপনার ভালটায়, কতটা ভাল ।
আবার প্রোডাক্ট ক্ষেত্রেও একই রকম , তাদের ভালটায় তারা কতটা ভাল ...
যেমন আইফোন
পারফরমেন্স , ডিজাইন, ইনোভেশন, ইকোসিস্টেম - এই চারটি ক্রাইটেরিয়ায় - সব ফোন থেকে ভাল । আর মার্কেটও এই ভাল গুন গুলো নিয়েই মূল্যায়ন করে থাকে। কিন্তু আপনি প্রাইস, longibility, আরও কিছু ক্রাইটেরিয়া কাউন্ট করেন তাহলে আইফোন, ভাল তো দূরের কথা এভারেজ ফোনও হবে না ।
আবার বিপরীত ভাবে শাউমির কথা চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন যে, তারা তাদের ভালটায়, কতটা ভাল । দাম কম - এইটাই তাদের সবচেয়ে ভাল গুণ । মার্কেটেও কম দামের জন্য ভাল ভাবে মূল্যায়িত হয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

পিৎজা এবং বই

How to Install R on Ubuntu